প্রকাশিত: Thu, Jan 25, 2024 11:59 AM
আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 7:57 PM

[১] নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারিতে বিপুল জয় পেলেন ট্রাম্প

রাশিদুল ইসলাম: [২] যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ে মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে ভোটে জয় পেলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

[৩] আগেই বিভিন্ন জরিপ ইঙ্গিত দিয়েছিল, নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিতে ট্রাম্প তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির নিকি হ্যালিকে পরাজিত করতে পারেন।

[৪] মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশায়ার আসনে জিতে যাওয়ার আগে ট্রাম্প আইওয়া আসনেও জয়ী হয়েছিলেন। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় অনেকটাই পিছিয়ে গেলেন আরেক রিপাবলিকান প্রার্থী নিকি হ্যালি।

[৫] প্রাথমিক নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর নিকি হ্যালি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে রিপাবলিকান ভোটারদের সতর্ক করে বলেছেন, বিতর্কিত ট্রাম্পকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মনোনীত করা মানে জো বাইডেনের জয়। আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে। এই দৌড় এখনও শেষ হয়নি। গন্তব্যের এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।

[৬] আগেই বলেছেন ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন না নিকি হ্যালি। নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিকে হ্যালির জন্য ‘শেষ সুযোগ’ মনে করা হয়েছিল। অন্যভাবে বললে, ট্রাম্পকে ঠেকাতে হ্যালির জন্য শেষ, তথা সেরা সুযোগ ছিল নিউ  হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারি।

[৭] ওয়াশিংটন পোস্ট/মনমাউথের এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, নিউ হ্যাম্পশায়ারে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের প্রতি ৫২ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে। আর ৫২ বছর বয়সী হ্যালির প্রতি সমর্থন আছে ৩৪ শতাংশের।

[৮] নিউ হ্যাম্পশায়ারের হলিসের এক প্রচারণা অনুষ্ঠানে ৫৯ বয়সী উদ্যোক্তা ডেনিন সানভিল বলেন, তিনি মনে করেন, ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে পারেন। ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে পারেন।

[৯] প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু রন ডিস্যান্টিস গত সপ্তাহান্তে এ লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। একই সঙ্গে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দেন। রন ডিস্যান্টিস সরে যাওয়ার পর এখন ট্রাম্পের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন হ্যালি।

[১০] ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার প্রশাসনে কাজ করেছিলেন হ্যালি। তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে হ্যালি আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান